যশোরে হেরোইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলায় দু’জনের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার পৃথক দুটি আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালতের স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা জানান, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ সকাল ৯টায় যশোর শহরের লোহাপট্টি এলাকায় অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আবাসিক হোটেল স্বপ্নপুরীর সামনে থেকে আটক করা হয় শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার মৃত কাশেমের ছেলে বাবুল হোসেনকে।
পুলিশ এসময় বাবুলের কাছ থেকে ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন এসআই আমিনুর রহমান। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ মে এসআই হাবিবুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। সর্বশেষ রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এদিকে, অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের অতিরিক্ত পিপি অসীম ঘোষ জানান, ২০১২ সালের ১৫ মার্চ সকালে অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী গ্রামে র্যাব-৬ খুলনার একটি টিম অভিযান চালায়। অস্ত্র মজুদ রয়েছে ও চরমপন্থি সন্দেহে ওই গ্রামের মৃত পুরাজোন বিশ্বাসের ছেলে অনিমেষ বিশ্বাসের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় অনিমেষের কাধে ঝোলানো ব্যাগ থেকে একটি চাইনিজ পিস্তল ও তার পরিহিত প্যান্টের বিভিন্ন পকেট থেকে ৮৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা করেন র্যাবের ডিএডি শাহাদাৎ হোসেন। মামলাটি তদন্ত করে এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান অনিমেষকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। রোববার এ মামলার রায় ঘোষনার দিনে অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ অনিমেষকে ১০ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল