খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
  ঘাটতির মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবায় ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা
  জুলাই-আগস্টে যত মানুষ হত্যা হয়েছে সব দায় শেখ হাসিনার : চিফ প্রসিকিউটর

ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ১১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

ব্যাংক এশিয়ার যশোর শাখার ম্যানেজার রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার মামলাটি করেছেন ওই ব্যাংকের গ্রাহক যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়ার রাজেন্দ্র লাল মন্ডলের ছেলে গৌরাঙ্গ মন্ডল। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১১ সালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিশেষ সুবিধায় লোন প্রদানের প্রলোভন দেখালে গৌরাঙ্গ মন্ডল ১০ লাখ টাকা সিসি লোন নেন। ঋণের বিপরীতে তিনি ব্যাংকে এক কোটি টাকা মূল্যের বাড়ির দলিল জমা রাখেন। একই সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে কয়েকটি ব্লাঙ্ক চেকে সই করিয়ে নেন। প্রথম থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার বিপরীতে সুদসহ ২৬ লাখ টাকা প্রদান করেন গৌরাঙ্গ। তার কিছু ডকুমেন্টস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আটকে রাখে। এরমধ্যে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর ব্যাংকে জমা রাখা একটি ব্লাঙ্ক চেকে চার লাখ ৮৮ হাজার ৫শ’ ৫১ টাকা পাওনা দাবি করে আদালতে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ম্যানেজার।

এ মামলা করার পর ২০২০ সালের ৮ মার্চ গৌরাঙ্গ একলাখ টাকা জমা দেন। এরপর ধাপে ধাপে আরও এক লাখ ২৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। সর্বশেষ হিসেব করে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই ব্যাংকের কাছে তার দেনা থাকে একলাখ ২৫ হাজার একশ’ টাকা। এরমধ্যে মামলা বাবদ খরচ ধরা হয় এক লাখ টাকা। মামলা চলমান ও টাকা প্রদানের মধ্য দিয়েই ম্যানেজার রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগীরা ব্যাংকে জমা থাকা তার চেক ও বাড়ির জমির দলিলের দুর্বলতাকে পুঁজি করে বাদীর কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২০ জুন ব্যাংক ম্যানেজার রবিউল ইসলাম তার রাখা চেকের বিপরীতে দুটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। একটি গৌরাঙ্গের ব্যক্তি নামে ও অপরটি তার প্রতিষ্ঠানের নামে। যা থেকে ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৬শ’১০ টাকা তার কাছে চাঁদা হিসেবে দাবি করা হয় বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!