সমবায় প্রতিমন্ত্রীর এপিএস, উপজেলার দুই ভাইস চেয়ারম্যান, ও দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে শ্লীলতাহানি ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করেছেন মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খাতুন। আদালত বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবার জন্য যশোর পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে এই মামলাটি করেন মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা বেগম।
মামলায় বলা হয়েছে, তিনি নির্বাচিত হবার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে উপজেলা প্রশাসন পরিচালনা করতে থাকেন। এতে দুর্নীতিবাজরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হতে থাকে। করোনা কালিন ৫৫৫ বস্তা ত্রাণের চাল চুরির ঘটনা সারাদেশে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এর পাঁচ আসামিও আটক করে পুলিশ। উপজেলা চেযারম্যান এই চাল চুরির সাথে সমবায় প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জড়িত থাকার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যও দেন। পরে আটক পাঁচ আসামি এই চাল চুরির সাথে মন্ত্রীর ভাগ্নে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দিও দেয়।
এ ঘটনায় দুর্নীতিবাজরা ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২২ জুলাই মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুুল হক মন্টু বিধিবর্হিভুত বিষয়ে আলোচনা তুলে সভার পরিবেশ ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট ও পন্ড করে। এক পর্যায়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদির ওপর চড়াও হবার চেষ্টা করে। আসামিদের অপতৎপরতা বুঝতে পেরে বাদি সভা স্থল ত্যাগ করার সময় আসামিরা অশ্লীল ভাষায় গলিগালাজ ও বাদির কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বাদি উপজেলা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার সময় তার হাত ব্যাগ থেকে মূল্যবান কাগজপত্র ও ১৮ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন পড়ে গেলে ৩নং আসামি সেটি নিয়ে চলে যায়। বাদি নাজমা বেগমকে সন্ত্রাসীর হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে আসামিরা বাদির সহকারি নয়নকে মারপিট করে। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। পুলিশি সহযোগিতা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বাদি আদালতে শরণাপন্ন হয়েছেন।
এই মামালার আসামিরা হলেন ৯ নং ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু, ৩ নং ভোজগাতি ইউনিয়নের চেয়রম্যান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জলি আকতার, পল্লী উন্নয়নও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খান।
খুলনা গেজেট/এনএম