যশোরে পৃথক তিনটি অস্ত্র মামলায় তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ নভেম্বর) আলাদা রায়ে তাদের এ সাজা দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল। সরকার পক্ষে মামলাগুলো পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি বিমল কুমার রায়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরের বেজপাড়া বুনোপাড়া বনানী রোডের হাফিজুর রহমানের ভাড়াটিয়া খোকন শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন সাগর, সদরের পাগলাদাহ গ্রামের হাসান মোল্লার ছেলে মহিদুল ইসলাম মুন্না ও ঝিকরগাছার বর্নি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার এরশাদ আলীর ছেলে আব্দুল গফুর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩১ জুন পুলিশ শহরের গাড়িখানা রোডে অভিযান চালিয়ে সাব্বির হোসেন সাগরকে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সাগর কারাগারে আটক আছেন।
২০২০ সালের ২৫ জুন পুরাতন কসবা ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাগলাদাহ গ্রামের মহিদুল ইসলাম মুন্নার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় মুন্না, হাসান ও জিন্না নামে তিনজনকে আটক করা হয়। আসামিদের স্বীকারোক্তিতে মুন্নার ঘরের রাইস কুকারের মধ্যে থেকে একটি গুলি ভর্তি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হাসান ও জিন্নার রুম থেকে একটি চাকু ও খেলনা পিস্তল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন এসআই সুকুমার কুন্ডু। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম ও ১৯-এফ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মুন্না কারাগারে আটক আছেন।
২০০৯ সালের ৭ মার্চ রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার কাওরিয়া মাঠ থেকে স্যালোমেশিন চুরি হয়ে যায় আব্দুস ছামাদ মোড়লের। পরদিন বিকালে নারাঙ্গালী মোড়ে গিয়ে দেখেন গফুর, বিল্লাল, লালন ও হজরত বসে আছেন। এ সময় সামাদ মেশিন চুরির কথা হজরতকে জানালে আসামি গফুর তার ওপর চড়াও হন। এর মধ্যে গফুর কোমর থেকে পাইপগান বের করে সামাদকে মারার জন্য আক্রমণ চালায়। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক আব্দুল গফুরকে আসামি করে অস্ত্র আইনে ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধেঅভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছর সশ্রম করাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল গফুর পলাতক রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই