যশোরে নুর আলী মেম্বর হত্যার মামলার আসামী মোঃ আরমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কাটাখলী মগড়া বাজার সাকিনস্থ জনৈক মোঃ শওকত আলীর বাসার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৬ সূত্র জানায়, গত ৭ মার্চ সন্ধার পর নুর আলী মেম্বার যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন বাবুর হাট বাজার হতে ছেলের মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। উক্ত তারিখ রাত ৮ টায় তারা বাবুরহাট বাজারস্থ মাতৃ মন্দির এর পিছনে রাস্তায় পৌঁছা ১২/১৪ জন এর একটি সন্ত্রাসী দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মোটরসাইকেল থামানো মাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নুর আলী মেম্বর মাথায় ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে এবং তার ছেলে মোঃ ইব্রাহিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। এতে করে সে মারাত্বাক জখম প্রাপ্ত হয়। অতঃপর সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মৃত নুর আলী মেম্বার ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
এ চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য এলাকার সর্বস্তরের জনগন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। র্যাব শুরু থেকেই এ হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (যশোর ক্যাম্প) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে নুর আলী মেম্বর হত্যার মুল হত্যাকরী পলাতক আসামী মোঃ আরমান বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কাটাখলী মগড়া বাজার সাকিনস্থ জনৈক মোঃ শওকত আলীর বাসার ভিতরে অবস্থান করছে। সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আরমানকে গ্রেপ্তার করে।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে যে, সে নুর আলী মেম্বার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। আসামী মোঃ আরমান নিজে নুর আলী মেম্বরকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে ছিল। তাকে অধিতর জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করে র্যাব।