যশোরের মণিরামপুরে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা হুমকি দিচ্ছে আসামি রোহিতা গ্রামের বিল্লাল হোসেন (গ্রাম্য ডাক্তার) ও বাগডাঙ্গা গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদ দিলু। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার।
ভিকটিমের ভাই লিটন হোসেন লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামের বিশ্বাসপাড়ায় বসবাস করেন। তার পিতা-মাতা ও ছোট বোন (১৮) মণিরামপুর উপজেলার মন্ডলগাতী পশ্চিমপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। আট মাস আগে তার বোনের সাথে যশোর সদর উপজেলার আমিননগর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শাহিনুর ইসলাম শাহিনের সাথে বিয়ে হয়। ২০২১ সালের চার অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে তার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে দ্বীন মোহাম্মদ দিলুর ইজিবাইকযোগে বাপের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইজিবাইক চালন দ্বীন মোহাম্মদ দিলু তার বোনের কাছে জিজ্ঞাসা করেন তাদের কোনো সন্তান নেই কেন। এ সময় বোন জানান, তাদের কোনো সন্তান হয় না। ওই সময় দিলু জানায়, তার পরিচিত ডাক্তার আছে। তার কাছে গেলে সন্তান হবে। তার বোন ডাক্তারের কাছে যেতে অস্বীকার করলে ইজিবাইক চালক দ্বীন মোহাম্মদ দিলু দ্রুত গাড়ি চালিয়ে তাকে রোহিতা গ্রামের বিল্লাল হোসেন (গ্রাম ডাক্তার) বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় বিল্লাল হোসেন তার বোনকে জোরপূর্বক ঘরে আটকে রেখে দিনব্যাপী ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার দিকে তার বোনকে দ্বীন মোহাম্মদ দিলু ইজিবাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তার বোন বাড়িতে এসে বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা মণিরামপুর থানায় অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর মণিরামপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর আসামিরা গত ৮ নভেম্বর জামিনে বের হয়ে হয়ে তাদের মামলা তুলে নেয়ার জন্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।