যশোরে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জন্মদাতা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। বেনাপোল পোর্ট থানার ছোটআঁচড়া গ্রামের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধেচার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাইয়ুম মুন্সী। শফিকুল ছোট আঁচড়া গ্রামের মানুষ হলেও বর্তমানে যশোর শহরের শংকরপুরে ফিরোজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
স্ত্রী লাকি খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বাসাবাড়িতে কাজ করেন। সেই কারণে সকাল হলে বেরিয়ে যান। বাড়িতে একমাত্র মেয়ে (১৩) থাকে। স্বামী শফিকুল ইসলাম বকচর কোল্ড স্টোর মোড়ে চায়ের দোকান চালায়। তাদের কিশোরী মেয়ে শহরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
বাদীর অভিযোগ, গত ১৫ মার্চ সকাল নয়টায় শফিকুল ইসলাম বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে নিজ কিশোরী মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি মেয়েটি তার মাকে বলে দেয়। সেই সময় উল্টো মেয়েকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয় শফিকুল। পরে গত ৯ এপ্রিল রাতে কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। বাবা শফিকুল ওই রাতে বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর পাশে ঘুমিয়ে থাকা কিশোরী মেয়ের পরণের সালোয়ার খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি স্বামী শফিকুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
এই বিষয়ে ৩০ মে কোতয়ালী থানায় স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এজাহার দেন লাকি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাইয়ুম মুন্সী তদন্ত করে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।