যশোরের বাঘারপাড়ায় মাদ্রাসাছাত্রী জয়নাব ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মজিবুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মজিবুল যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন এসআই নবুয়াত হোসেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত মজিবুলকে আটক দেখানো হয়েছে। একই সাথে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ইমরানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত জয়নাব নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জিয়াউর শেখের মেয়ে। সে স্থানীয় মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণিতে পড়তেন। জয়নাবের দুলাভাই আসাদুজ্জামান যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি করেন এবং মসজিদের কোয়ার্টারে থাকেন। ওই কোয়ার্টারের পাশেই মজিবুল ইসলামের বাড়ি। দুলাভাইয়ের কোয়ার্টারে বেড়াতে আসে জয়নাব। এরপর মজিবুল ইসলামের সাথে জয়নাবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর জয়নাবকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তার দুলাভাই আসাদুজ্জামান জানতে পেরে মুজিবুলের বাড়ি ও মাদরাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ৫ নভেম্বর বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া গ্রামের একটি ঘেরের মধ্য থেকে জয়নাবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জয়নাবের পিতা নড়াইল মির্জাপুর গ্রামের জিয়াউর শেখ বাদী হয়ে বাঘাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া জবানবন্দি ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যা ও ধর্ষণে জড়িত থাকায় মজিবুলকে অভিযুক্ত করে সোমবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম