যশোরে দুর্নীতি মামলায় এক চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে জেলা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে সিনিয়র স্পেশাল জেলা জজ আদালতের বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, যশোর জেনারেল হাসাপতালের তৎকালিন ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারি রেজিস্টার ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কেশবপুর থানার তৎকালীন এসআই ও বর্তমানে বাগেরহাট সদর থানায় কর্মরত হিরন্ময় সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে কেশবপুরের শ্রীফলা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছেরমত আলী গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে তার ভাই কেশবপুর থানায় মামলা করেন। যার নম্বর ১২, তারিখ ২৩/৩/২০১৫। এ মামলার তদন্তকালে এসআই হিরন্ময় সরকার ও যশোর জেনারেল হাসপাতালের ইমাজেন্সি চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগসাজসে মিথ্যা জখমী সনদ তৈরি করে ও এ জখমী সনদের উপর ভিত্তি করে আদালতে দুর্বল চার্জশিট জমা দেন।
বিষয়টি আহত ছেরমত আলীর নজরে আসলে ২০১৮ সালের ২১ মে জেলা ও দায়রা জজ আদলতে ওই দুইজনকে আসামি করে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেন।
আদালতের আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক মাহফুজ ইকবাল তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যাতা পেয়ে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ১৯ জুলাই সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। বৃহস্পতিবার ধার্য দিনে তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক তা গ্রহন করে পলাতক আসামিদের প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট / এমএম