যশোরে তৃতীয় লিঙ্গের লাবনী ওরফে লাভলী হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে ডিবি পুলিশ। এ হত্যায় জড়িত চার আসামিকে তারা আটক করা করেছে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু, একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, একটি কুড়াল, তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার হয়েছে। রোববার বিকেলে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার।
তিনি জানান, হাশিমপুর, দোগাছিয়া, ঝাউদিয়া, নারাঙ্গালী ও ধর্মতলায় অভিযান চালিয়ে লাভলী হত্যায় জড়িত চার জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, দোগাছিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে শাকিল পারভেজ, ঝাউদিয়া গ্রামের শাহাজুল বিশ্বাসের ছেলে মেহেদি হাসান, খোলাডাঙ্গা এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের নাজমা ও সেলিনা।
তিনি আরো জানান, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায়কে পরিচালনা করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আকাঙ্খা ও পূর্ব শক্রতার জের হিসেবে লাবনী ওরফে লাভলীকে হত্যা করা হয়। নাজমা ও সেলিনা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শনিবার সকালে তাকে শহরের বাইরে নিয়ে যায়। অপর দুই আসামি হালসা গ্রামে ইজিবাইক গতিরোধ করে প্রথমে লাভলীকে গুলি করে। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রস্ট হয়। পরে শাকিলের কাছে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে একাধিক আঘাত করে লাবনীকে জখম করে তারা চলে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে লাবনীর মৃত্যু হয়।
এরপর রাতেই হত্যার তদন্তে নামে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তারা চার আসামিকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা রহস্য উন্মোচন করে ডিবি পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে লাবনী ও তার দুই সহকর্মী ইজিবাইকযোগে কায়েমকোলা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে সকাল ৮টার দিকে যশোর-ছুটিপুর সড়কের হালসা ব্রিজের কাছে পৌছালে দু’জন তাদের বাইকের গতি থামিয়ে লাবনীর গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এরপর শরীরে একাধিক আঘাত করে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাবনীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।