যশোরে পুলিশি বাধার মুখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পন্ড হয়ে গেছে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, শহরের শংকরপুর আশ্রম মোড়ের সৈয়দ শাহাদৎ আলী লিটন, সৈয়দ এরশাদ আলী লিপটন, ঘোপ নোয়াপাড়া রোডের সাব্বির মালিক, চুড়ামনকাটির রফিকুল ইসলাম, শংকরপুরের রাজন হাওলাদার রাজু ওরফে মানিক, বারান্দীপাড়ার আজিজুল হাকিম, চাঁচড়ার চোরমারা দিঘীরপাড় এলাকার খুরশিদ আলম, হৈবতপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের কামরুজ্জামান, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তোফোজ্জেল হোসেন, বাগডাঙ্গা গ্রামের গোলাম রসুল ও ঢাকা রোড এলাকার ফারুক হোসেন।
যশোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি জানান, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছিলে। কিন্তু পুলিশ সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয় ও লালদীঘি প্রবেশের সকল সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এছাড়া তাদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসলে ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। তিনি আরও জানান, দলীয় কার্যালয়ে যেতে না পেরে নেতাকর্মীরা শহরের সিভিল কোর্ট মোড়, আশ্রম রোড, জেলরোড, মুড়লি মোড়, চাঁচড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। পরে এদিন বিকেলে যশোর বড়বাজারে নগর ছাত্রদলের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পন্ড করার লক্ষ্যে কোন কারণ ছাড়াই শুক্রবার রাতে শহর ও শহরতলীতে অভিযান চালিয়ে ১২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। এরপর শনিবারও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া যেসব নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে তারা গত ২৪ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলার আসামি। এ মামলায় তারা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো। শুক্রবার রাতে আসামিদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।