যশোরে শিরিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী জুয়েল সরদারের বিরুদ্ধে নৃশংস এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জুয়েলের পরিবারের লোকজন। পুলিশ বলেছে, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ খতিয়ে দেখে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অভিযোগে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার আরবপুর মাঠপাড়ার জুয়েল সরদার তার প্রথম স্ত্রী পলি খাতুনের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালে পলির ফুফাতো বোন শিরিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে গোলযোগ হতো। যা পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী অনেকেই জানতো।
শিরিনের পিতা ও ভাই সোহেল রানা অভিযোগ করে বলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে গত মঙ্গলবার দুপুরে নিজ ঘরে শিরিনাকে আটকে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী জুয়েল সরদার। এরপর তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দুপুরেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত জুয়েল সরদার যশোর শহরতলীর খয়েরতলার এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
অবশ্য হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুয়েলের পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি শিরিন নিজেই ঘরে থাকা মোটরসাইকেলের পেট্রোল গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মঙ্গলবার কর্তব্যরত ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, দাহ পদার্থে ওই নারীর শরীরের অধিকাংশ জায়গা পোড়া ছিল। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় রেফার করা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, শিরিনা মৃত্যুর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএ