যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামের গৃৃহবধূ পপি রাণী কুন্ডু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সুবল কুন্ডু তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সুবল কুন্ডুকে পিবিআই গত মঙ্গলবার আটক করেছে।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেছেন, বুধবার সুবলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
পিবিআই জানায়, ১৮ বছর আগে মাগুরার শালিখা উপজেলার শরশুনা গ্রামের সুশান্ত কুন্ডুর মেয়ে পপি রাণী কুন্ডুর সাথে যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি কুন্ডুপাড়ার বিমলচন্দ্র কুন্ডু ছেলে সুবল কুন্ডুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে পপির বাবাকে ফোন করেন তার দেবরের স্ত্রী রত্না কুন্ডু। ফোনে তিনি জানান, পপি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। এরপর ময়না তদন্ত শেষে পপির লাশ সৎকার করা হয়। পরে পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়।
ওই রিপোর্টে পিবিআই জানতে পারে, পপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে তার বাবা সুশান্ত কুন্ডু অজ্ঞাত আসামি করে একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই স্নেহাশিষ দাশ খুনি সন্দেহে স্বামী সুবল কুন্ডুকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় তার বাড়ি থেকে আটক করেন। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সুবল স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে।
পিবিআই তার ভাষ্য উদ্ধৃত করে বলেছে, ঘটনার দিন রাত নয়টার দিকে রান্না ঘরে স্ত্রী পপির সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে সুবলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুবল লাঠি দিয়ে তার মাথায় কয়েকটি আঘাত করলে পপি মাটিতে পড়ে যায়। সুবল তখন গলা টিপে ধরলে কিছুক্ষণ পর পপি নিস্তেজ হয়ে যান। শব্দ পেয়ে তাদের মেয়ে পিংকি ছুটে এলে সুবল ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য তাকে বলে, তার মা পপি রান্না ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি