যশোরে সুমাইয়া খাতুন নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমাইয়াকে তার স্বামী নুরুজ্জামান যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মা আরজিনা বেগম এই ব্যাপারে বিশেষ বাহিনীর সদস্য স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
নিহত সুমাইয়া খাতুন সদর উপজেলার সদুল্লাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী খানের মেয়ে।
নিহতের মা আরজিনা বেগম জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে রাজশাহীর বাসিন্দা ও যশোরে বিশেষ বাহিনীর সদস্য নুরুজ্জামানের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের সাড়ে তিন বছরের রোহান মাহমুদ নামে একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই জামাই নুরুজ্জামান যৌতুক বাবদ টাকা নিতেন। প্রায় ৫ বছর আগে সুমাইয়ার পিতা মারা যান। তার পিতা মারা যাওয়ার পরেও বিভিন্ন সময় নুরুজ্জামান অনেক টাকা নিয়েছেন। সম্প্রতি নুরুজ্জামান অন্য নারীর প্রতি আশক্ত হয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের পারিবারিক বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে ওইদিন গভীররাতে নুরুজ্জামান ঘরের মধ্যে সুমাইয়াকে বেল্ট দিয়ে মারপিট করে। এতে মারাত্মক আহত অবস্থায় সুমাইয়াকে ফেলে তার স্বামী নুরুজ্জামান বাসা থেকে অন্যত্র চলে যান। পরদিন সকালে জানালা দিয়ে দেখে প্রতিবেশিরা নুরুজ্জামানের ইউনিটে এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অবহিত করে। এরপরে লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৃত সুমাইয়ার গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া তার বাম কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া ছিল।
সুমাইয়ার মা আরও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে জামাই নুরুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) বিএম আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই