যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকায় একইদিনে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গ্রামবাসী খুনী মাদকাসক্ত এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুরে রূপদিয়া বাজার শ্মশানপাড়ায় ইসমাইল হোসেনের সাথে তার মাদকাসক্ত ছেলে বাদশার ইজিভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি নিয়ে কথা কাটাকাটি চলছিল। এ সময় বাদশার দাদী জবেদা খাতুন এগিয়ে এসে বলেন, ব্যাটারি কেন বেঁচেছিস। এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বাদশার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে জবেদা খাতুনের মাথায় আঘাত করলে দাদী জাবেদা খাতুন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঠেকাতে গিয়ে বাদশার কাকা সিদ্দিক আলী ও কাকাতো বোন গুরুতর আহত হয়। পরে জাবেদা খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয় সোমবার দুপুরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার রেফার করেন। খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে জবেদা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাদশাকে ধরে স্থানীয় জনগণ পুলিশে দেয়।
এদিকে, রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে কচুয়া ইউনিয়নের নিমতলী ট্যাকের বাজারে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের একটি গ্রুপ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে রাকিব (২২) নামে এক যুবকসহ ১০ জন আহত হয়। ওই রাতেই আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে রাকিবের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাকিব চাউলিয়া হাইওয়ে তেলপাম্পপাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, এসব ঘটনাসহ সম্প্রতি রূপদিয়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে গ্রামবাসী মন্তব্য করেছে। গ্রামে কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে মাদকের বিকিকিনি চলার কারণে প্রতিনিয়ত গোলযোগ লেগেই থাকছে। শান্তিপ্রিয় রূপদিয়ার মানুষ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনিক কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছে। যাতে তারা কিশোর গ্যাং ও মাদকমুক্ত পরিবেশে শান্তি বসবাস করতে পারেন।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, যশোরের রূপদিয়া এলাকায় দুটি মৃত্যুর ঘটনায় মাদকাসক্ত এক খুনীকে আটক করা হয়েছে। অপর ঘটনায় জড়িতদের আটকের অভিযান চলছে। ওই এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এমএম