যশোরে আল-কারীম ফাউন্ডেশনের পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার সদর উপজেলার শরশুনাদাহ গ্রামের মৃত মাহতাব উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সাবেক মাঠকর্মী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, শহরের লোন অফিসপাড়ার আল-কারীম ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি মাসুদ রানা, প্রধান সমন্বয়কারী শিবলী আক্তার ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসমিরা আল-কারীম ফাউন্ডেশন তৈরি করে মাঠকর্মী নিয়োগ দেয়। এরপর তাদের ফাউন্ডেশনে আমানত ও সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে গ্রাহক সৃষ্টি করে টাকা জমা রাখে। ২০০৮ সালের ২৫ মে মামলার বাদী নজরুল ইসলাম আল-কারীম ফাউন্ডেশনে মাঠকর্মী হিসেবে যোগদান করেন। তিনি নিজে ফাউন্ডেশনে ৩৪ হাজার ৬শ’ টাকাসহ ২৪ জনকে সদস্য করে তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা জমা দেন। সিদ্দিকুর রহমান ২০০৪ সাল থেকে চলতি বছরের ১০ জুন পর্যন্ত নিজে ও গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৪১৫ টাকা জমা দেন। আবু হানিফ ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের ২২ আগস্ট পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ফাউন্ডেশনে জমা দেন। জাকির হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, আনিচুর রহমান, খাদেমুল ইসলাম মাঠকর্মী হিসেবে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ৪১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৯ টাকা ফাউন্ডেশনে জমা দেন। শর্ত অনুযায়ী চাহিবা মাত্র জমাকৃত টাকা গ্রাহককে ফেরত দিতে বাধ্য ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো গ্রহকরা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে না দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। এরপর গত ১ নভেম্বর অফিসে গিয়ে আসামিদের কাছে তাদের ও গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে কোন টাকা দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় কর্মকর্তারা। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই