যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। যদিও এ অভিযানে কেউ আটক হয়নি বা অবৈধ কোন মালামাল উদ্ধার হয়নি।
পুলিশের দাবি, তারা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে অভিযান চালায়নি। অস্ত্র, মাদক ও মামলার পলাতক আসামিদের ধরতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে দিনের বেলায় পুলিশি এ অভিযানে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন নেতার বাড়ির সামনে অভিযানে লোকজনের ভিড়ও দেখা যায়।
পুলিশ প্রথমে শহরের কাঁঠালতলায় অবস্থিত শাহীন চাকলাদারের ভাঙচুরকৃত বাড়িতে যায়। এ বাড়িটি সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময় ভাঙচুর ও আগুনে ধরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি বা তার পরিবার কেউ বসবাস করেন না। সংস্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
পরে পুলিশ সদস্যরা পর্যায়ক্রমে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনের বাড়িতে, এরপর কদমতলার যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়ি এবং কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতেও অভিযান চালায়।
যুবলীগ নেতা জুয়েলের ভাবী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, পুলিশ আমাদের বাসায় এসে জুয়েলের খোঁজ নেয়। আমরা জানাই, তিনি অনেক আগেই বাড়ি ছেড়েছেন। এরপর পুলিশ ফিরে যায়, কাউকে কিছু বলেনি।
অভিযানে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন মামলার আসামি ওইসব নেতাদের বাড়িতে তারা গোপনে অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতেই তারা অভিযান চালিয়েছেন। কাউকে না পেলেও এমন অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, এটি কোনো দলীয় অভিযান নয়। নিয়মিত মাদক ও অস্ত্র বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবেই পুলিশের এ তৎপরতা।