যশোর জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত ১৭ কর্মচারীর বিনাবেতনে চাকরির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যশোর জেলা প্রশাসক, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ১৪ কর্মকর্তাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন গত ৩ জানুয়ারি এ নোটিশ পাঠান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নোটিশ পাবার কথা স্বীকার করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়ের সদিচ্ছার অভাবে ১৭ জন কর্মচারী গত ছয় মাস ধরে বিনাবেতনে কাজ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতন চাইলে প্রথমে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন তত্ত্বাবধায়ক। তারা হাসপাতাল থেকে যেতে না চাইলে স্বেচ্ছায় বিনাবেতনে কাজ করেছি এবং বিনাবেতনে কাজ করব, এমনটি লিখে দিতে বলা হয়। সর্বশেষ ডাক্তার দিলীপ ওই ১৭ কর্মচারীকে পুলিশ দিয়ে আটক করার হুমকি দেন। এরপর এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলো।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের পক্ষে তার জুনিয়র একে খান উজ্জ্বল নোটিশটি পাঠান। এ নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ-সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, প্রধান হিসাবরক্ষক, স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি (মহাপরিচালক), পরিচালক (প্রশাসন), উপ-পরিচালক, পরিচালক (অর্থ), যশোর জেলা প্রশাসক, যশোরের সিভিল সার্জন এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে পাঠানো হয়।
নোটিসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত কর্মচারীদের সমুদয় বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য অনুরোধ করেছেন। একইসাথে তাদের ২০২২ সাল পর্যন্ত কর্মে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যত্যয় হলে হাইকোর্ট ডিভিশনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর দেয়া নোটিশ আমি হাতে পেয়েছি। নির্ধারিত সময়েই জবাব দেয়া হবে বলে তিনি জানান।