যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের হিসাব শাখা সিলগালা করে দিয়েছে দুদক। আর বুধবার অডিট শাখা তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিন দুপুরে বোর্ডের হিসাব শাখার উপ-পরিচালক এমদাদুল হক নিজেই কক্ষটিকে তালাবদ্ধ করে দেন। অবশ্য শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য পাচার রোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সেকশন অফিসার মোহাম্মদ রফিক বলেন, এদিন দুপুরে বোর্ডের অডিট শাখাটি তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে হিসাব শাখাটি সিলগালা করে দিয়েছে দুদক। তবে অডিট শাখা কেনো তালাবদ্ধ করা হলো, সেটি আমাদেরকে জানানো হয়নি।
শিক্ষাবোর্ডের হিসাব শাখার উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মোল্লা আমীর হোসেনের নির্দেশেই অডিট শাখা তালাবদ্ধ করা হয়েছে। বোর্ডের পাঁচ কোটি টাকার চেক জালিয়াতির নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অডিট শাখায় তালা লাগানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু সেকশন অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামেও একটি চেক পাওয়া গেছে। এ কারণে যাতে কোন তথ্য বাইরে পাচার না হয়, সে জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া এ সেকশনের তালা খোলা হবে না বা কোন কাজ করা হবে না।
এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মোল্লা আমীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, চেক জালিয়াতির সাথে জড়িত একটি চক্র নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে বেশ কিছু তথ্য বাইরে পাচার করেছে। সেইসাথে তারা কিছু ডকুমেন্টসও সরিয়ে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এতে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। যে কারণে অডিট শাখা তালাবদ্ধ করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত করতেই এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যশোর শিক্ষাবোর্ডে তিন দফায় মোট ১৬টি চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। যার মাধ্যমে চক্রটি কয়েক দফায় পাঁচ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯৮ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনায় বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব এএমএইচ আলী আর রেজাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এ মামলার তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যে দুদক কর্তৃপক্ষ শিক্ষাবোর্ডের হিসাব শাখা সিলগালা করে দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম