যশোর শিক্ষাবোর্ডে সাত কোটি টাকার চেক জালিয়াতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশসহ ৬ দফা দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলার নেতৃবৃন্দ। অন্যথায়, বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি ও শিক্ষাবোর্ড অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারি জানানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোডস্থ জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের জেলা সমন্বয়ক তসলিম উর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাত কোটি টাকার দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দুষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চেক জালিয়াতির ঘটনায় বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোরের নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে। তাদের এ আন্দোলনের মুখে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব ওএসডি হয়েছেন। এই দুর্নীতির সাথে আরও অনেকেই জড়িত বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অনেকে স্বেচ্ছায় টাকা ফেরত দিয়েছে। অনেকে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের রক্ষার জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। তারা চেক টেম্পার করে অর্থ গ্রহণ করেছে। আমরা জেনেছি, এই দুর্নীতির টাকা ঠিকাদারসহ অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যশোর শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদার, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারাই জড়িত হোক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত ও জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ শিক্ষাবোর্ডের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, দুর্নীতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দ, অসাধু ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের গ্রেফতার, জড়িতদের চাকরি থেকে বরখাস্ত ও গ্রেফতার, দীর্ঘদিন অডিট না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা এবং প্রশাসনের সর্বস্তরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি উত্থাপন করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে জালিয়াতির ঘটনায় কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেয়া না হলে শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষাবোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক হাচিনুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সদস্য কামাল হাসান পলাশ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএ