বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েছে গোটা যশোর। বিকেলে সেনা প্রধানের ভাষণের পরই ছাত্রজনতা সাধারণ মানুষ শহরের প্রধান সড়কে আনন্দ মিছিল করে। মিছিল থেকে ২০টি অফিস ও অত্যাধুনিক হোটেল জাবির ইন্টান্যাশনাল ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকার পতনে বিজয় উল্লাস ও আনন্দ মিছিল করার সময় বিক্ষুদ্ধরা শহরের চিত্রা মোড়ের হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ছাত্র-জনতা, হোটেল স্টাফ ও বোর্ডার মিলিয়ে ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আগুনে পুড়ে আরো কমপক্ষে ৮০ জনকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ঘটনা ঘটেছে সাবেক এমপি ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের বাড়ি, অফিস, ছাপাখানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ফন্টু চাকলাদারের বাসা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আধুনিকমানের হোটেল জাবির ইন্টান্যাশনাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন।
এছাড়া, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ইউনিলিভারের গোডাউনে লুটপাট, কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা আলমগীর কবীর সুমনের বাড়ি ভাঙচুর, সদর উপেজলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত নাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আরো ৭টি স্থাপনায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলেও তথ্য মিলেছে।