যশোরের পুলেরহাটে বাবা ও মেয়েকে হত্যাকারী বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। এতে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বাসের মালিক শার্শা উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের এবিএম বদরুল আলশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাজার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম।
আসামিরা হলো, যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি পুলেরহাট গ্রামের জয়নালের ছেলে শহিদুল, একই গ্রামের ইস্রাফিল, পুলেরহাট গ্রামের তাহের আলীর ছেলে আশিক, লাল্টুর ছেলে ইব্রাহিম ও লিটনের ছেলে নূর আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যাত্রীবাহী মিনিবাসটি (ঢাকা মেট্রো- জ- ১৪-০২৫২) খুলনা-সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ ভায়া যশোর নাভারন রুটে চলাচল করতো। গত ৩ এপ্রিল বিকেলে মিনিবাসটি যশোর শহরতলীর পুলেরহাট পৌঁছালে সামনে থাকা একটি প্রাইভেট কার একটি মোটরসাইকেলের পিছনে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রাইভেট কারের পিছনে থাকা মিনিবাসটি দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাকেলে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাকেলের চালকসহ তিনযাত্রী রাস্তায় পড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মেয়ে ঐশী ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পথে চালক পিতা রুবেল মারা যায়। দুর্ঘটনার পর বাসটি ঘটনাস্থলে রাখা ছিল। বিকেল ৫ টার দিকে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিনিবাসের ভিতর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বাসটি পুড়ে যায়। বর্তমানে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে তাদের হেফাজতে রেখেছে। বাসটি পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে