যশোরে বৃদ্ধা ও অসুস্থ্য এক আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে দোষ স্বীকার করে নিজেকে সংশোধনের সুযোগের প্রার্থনা করায় আদালত তাকে দুই বছরের সাজার বিপরীতে দুই বছরের প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি খাদিজা বেগম যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার আলাউদ্দীনের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি লতিফা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি খাদিজা বেগম ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ নিজ এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক হন। পিপি লতিফা ইয়াসমিন জানান, আসামি ৫২ বছরের বৃদ্ধা। এছাড়া তিনি লিভার, কিউনিসহ নানা রোগে ভূগছিলেন। আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন। এসময় আদালত তার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সাত শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন।
শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আসামি অক্ষর জ্ঞানহীন হওয়ায় প্রবেশনকালীন তাকে বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। এছাড়া নিজ বাড়িতে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থাকতে হবে। সৎ ও শান্তিপূর্ন জীবন যাপন করতে হবে। কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়ানো যাবে না। মাদকের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। দেশত্যাগ করতে পারবে না ও ট্রাইবুন্যাল কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথা সময়ে হাজির হতে হবে। এসব আদেশ অমান্য করলে তাকে সাজা ভোগ করতে বাধ্য থাকতে হবে।
খুলনা গেজেট/এএ