উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, জেলার কাজীপুর পয়েন্টে গত ১২ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় আরও ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যেমন যমুনার চরের নতুন ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, তেমনি বন্যার আশঙ্কা করছে নদীপাড়ের মানুষ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, জেলার কাজীপুর পয়েন্টে গত ১২ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় আরও ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যেমন যমুনার চরের নতুন ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, তেমনি বন্যার আশঙ্কা করছে নদীপাড়ের মানুষ।
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, জেলার কাজীপুর পয়েন্টে গত ১২ ঘণ্টায় (১৯ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২০ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ১৯ জুন সন্ধ্যা ৬টায় জেলার কাজীপুর পয়েন্টে যমুনার পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৫৩ মিটার। বর্তমানে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬২ মিটার। এখানে পানির বিপৎসীমার স্তর ধরা হয় ১৫ দশমিক ২৫ মিটার। ফলে এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। এতে ধীরে ধীরে প্লাবিত হচ্ছে যমুনার চর ও নিম্নাঞ্চল। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বন্যা ও ভাঙন-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে নানা রকমের ফসল। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে।
পাউবোর পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, সকালে শহরের হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮ মিটার। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫৭ মিটার। এখানে বিপদসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। ফলে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।