খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  দক্ষিণ কোরিয়ায় নৌ-বাহিনীর প্লেন বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই আরোহীদের কেউ
  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে দায়িত্ব নিলেন সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল
  নেচার ইনডেক্সের র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০-এ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
  ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে জাপানের আরও বিনিয়োগ চান প্রধান উপদেষ্টা

যবিপ্রবিতে নিয়োগ ও অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ, সাবেক ভিসিসহ ছয়জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ দুর্নীতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদক  আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (হিসাব) শরিফুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান, যবিপ্রবির অধ্যাপক (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ) ড.বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, যবিপ্রবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসার শেষ আবুল হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড.আজিজুল ইসলাম। এছাড়া আরেক আসামি শরিফুলকে অবৈধ পদে চাকরি দেয়া হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের জুলাইতে শরিফুলকে অডিট ও এন্ড এ্যাকাউন্টস পদে মঞ্জুরী না থাকলেও তাকে এ পদে যোগদান করানো হয় । এসময় কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। শুধুই তাই না, অভ্যান্তরীন প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (হিসাব) শরিফুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওই পদে কর্মরত রয়েছেন। এরমাঝে বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। অনুসন্ধানে নামে তারা। উঠে আসে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শরিফুল সরকারী তহবিল থেকে ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৬শ’৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন । বিষয়টি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলা দায়েরের অনুমতির আবেদন জানায় দুদক যশোর কার্যালয়। এক পর্যায় অনুমতি পেয়ে এ মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতারণা ও আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি পেয়ে মামলাটি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মুলত শরিফুলের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ছিলো। এ ছাড়া ধাপে ধাপে তার পদন্নতিতেও ছিলো ঘাপলা। এ বিষয়ে দুদকের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!