নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অর্জন ঈর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষক-গবেষকদের উদ্ভাবিত জ্ঞান জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
সোমবার যবিপ্রবি দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘রিসার্চ কন্ট্রিবিউশন অব জাস্ট ইন দ্য ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আনোয়ার এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. আনোয়ার বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানত তিনটি লক্ষ্য স্থির করে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমটি হলো, যে জ্ঞানটি বর্তমানে আছে, সেটি অর্জন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। দ্বিতীয়টি হলো, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে শিক্ষার্থী এবং বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া এবং তৃতীয়টি হলো, সামাজিক দায়বদ্ধতা। এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. তানভীর হাসান। আলোচনা করেন শিক্ষক-গবেষক ড. জাবেদ হোসেন খান, ড. ইমরান খান ও ড. আমিনুল ইসলাম। সঞ্চালন করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা ইয়াসমিন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ভবনের সামনে ফলদ, বনজ ও ওষধি গাছের ১৪টি চারা রোপণ করা হয়। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জমির ওপর এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম