প্রায় ২ লাখ রুশ সেনা ইউক্রেনকে ঘিরে রেখেছে। যেকোনো সময় যুদ্ধের আশঙ্কা করছে পশ্চিমারা। ইতোমধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এবার কিয়েভ আক্রান্ত হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কি রাশিয়ানদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি তারা আক্রমণ করে, আমাদের প্রদেশ, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের জীবন, আমাদের শিশুদের জীবন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে, আমরা নিজেদের রক্ষা করব।’
এ সময় জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আপনি আক্রমণ করার সময় আমাদের মুখগুলো দেখতে পাবেন, আমাদের পিঠ নয়।’
বিবিসির পূর্ব ইউরোপীয় সংবাদদাতা সারাহ রেইনসফোর্ড জেলেনস্কির এই বক্তব্য নিয়ে টুইট করেছেন। সারাহ এই বক্তব্যকে দেখছেন রাশিয়ার জনগণ যাতে তাদের প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধ শুরু করা থেকে বিরত করে তার শেষ চেষ্টা।
সারাহ বলেন, ‘তার বক্তব্য ছিল পরিষ্কার। যুদ্ধের অর্থ হবে মৃত্যু। রক্ত। হাজারও মানুষের জীবন। রাশিয়ানদের অবশ্যই সত্যটা জানতে হবে এবং অনেক দেরি হওয়ার আগেই আপনাকে থামতে হবে।‘
সারাহর মতে, এই যুদ্ধ এমনকি সম্ভব, অনেক ইউক্রেনের নাগরিকও তা বিশ্বাস করতে চায়নি।
এদিকে নতুন জরিপে উঠে এসেছে, প্রতি দুই রুশ নাগরিকের মধ্যে একজন, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ নাগরিক মত দিয়েছেন ইউক্রেনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হলে তা মস্কোর জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।
তবে ২৫ শতাংশ রুশ নাগরিক মত দিয়েছেন, এমন অভিযানের সিদ্ধান্ত ভুল হবে।
অন্যদিকে ২৫ শতাংশ রুশ নাগরিক এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো মত দেননি।
রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনেও জরিপ চালিয়েছে সিএনএন। তবে রাশিয়ার জরিপের ঠিক উল্টো চিত্র পাওয়া গেছে ইউক্রেনে। দেশটির অধিকাংশ মানুষ রাশিয়ার সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
ইউক্রেনের ৭০ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, রাশিয়ার সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দুই দেশকে আবারও একত্রিত করতে এমন অভিযান সঠিক হবে না।
অন্যদিকে ৭৩ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের সংযোজন ঠেকাতে রাশিয়ার সামরিক শক্তি প্রয়োগ ঠিক হবে না।
এ জরিপে দুই দেশের দুই হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। জরিপটি চালানো হয় ৭ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে কি না, তা নিয়ে বিশ্ববাসী উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই