ছবিটি ম্যারাডোনা তুলেছেন তার চিকিৎসক লিওপোলদো লুকের সঙ্গে। তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচারের পরপরই নিজের মোবাইলে ছবিটি তুলেছেন লুকে। মিডিয়ার কল্যাণে যা ছড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বে। হাসপাতালে থাকা অবস্থাতে তার ছবি তোলা ঠিক হয়েছে কি না এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন ছবিটির। তবে লুকের দাবি ছবি তোলার বিষয়ে ম্যারাডোনার সম্মতি নিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘ডিয়েগোর এতে সম্মতি ছিল। আমি পরিস্কার করতে চাই যে এটি আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। এটা ঠিক যে আমি ছবিটির গুরুত্ব ও এর প্রভাব তখন বুঝতে পারিনি।’ ‘প্রথমে আমি ক্ষমা চাই যারা এতে আহত হয়েছেন। আমি কোনো ধরনের বিতর্ক চাইনি’, যোগ করেন লুকে। ম্যারাডোনার পরিবারও ছবিটি নিয়ে নাখোশ।
আর্জেন্টাইন মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা চাননি এমন একটি ছবি তার সবশেষ প্রকাশিত স্মৃতি হয়ে থাকুক। লুকে অবশ্য জানান ছবি তোলার দিন, খেলার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়ার থেকে ভালো অবস্থায় ছিলেন ম্যারাডোনা। ‘আমি ভেবেছিলাম এই ছবিটি আগের ছবিটির স্মৃতিকে মুছে দিবে। পাত্রোনাতোর বিপক্ষে ম্যাচের দিনের চেয়ে তিনি ওইদিন অনেক ভাল অবস্থায় ছিলেন,’ ব্যাখ্যা করেন লুকে।
অস্ত্রোপচারে কয়েকদিন আগেই আর্জেন্টাইন লীগে নিজের দল হিমনাসিয়া লা প্লাতার বিপক্ষে পাতরোনাতোর ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ম্যারাডোনা। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠের বাইরে নিয়ে যান। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের এল তিগ্রেতে নিজের বাড়িতে ছিলেন ম্যারাডোনা। বুধবার সেখানেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ৬০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।
খুলনা গেজেট /এমএম