এক মৌসুম পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রত্যাবর্তন জয়ে রাঙালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে রেড ডেভিলদের কাছে হার দেখলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে আবার হার দেখলো ফরাসি ক্লাবটি।
পার্ক দে প্রিন্সেসে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয় দেখেছে সফরকারি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সফরকারীদের পক্ষে নতুন অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং মার্কাস র্যাশফোর্ড গোলের দেখা পেয়েছেন। এদিকে নেইমার-এমবাপ্পে-ডি মারিয়াদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ এই ম্যাচে কোনো গোল দেখেনি। তবে এদিন পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ম্যানইউয়ের তারকা স্ট্রাইকার আঁতোনি মার্শিয়াল।
২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে জয়ের পর ফরাসি ক্লাবটি নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ৩-১ ব্যবধানে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল। আর এবার ঘরের মাঠে হারে শুরু করলো ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
তবে ঘরের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্যে এগিয়ে ছিল পিএসজিই। শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ইউনাইটেডের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। কিন্তু রেডডেভিলদের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার দৃঢ়তায় গোল পায়নি লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ১২ মিনিটের সময় ডি মারিয়ার বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ডি গিয়া। দ্বিতীয় দফায় নেইমারের ছোট কর্নারের পর এমবাপ্পের ক্রসে গোলমুখে থাকা লেইভিন কুরজাওয়া পা ছোঁয়ালেও আবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় ডি গিয়া।
ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রথম দারুণ সুযোগ পায় ম্যানইউ। মার্সিয়ালকে ডি-বক্সে আবদু দিয়ালো ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। কিন্তু ফার্নান্দেজের দুর্বল শট ফিরিয়ে দেন নাভাস। গোল ফিরিয়েও দুর্ভাগা পিএসজি গোলরক্ষক। ভিএআরে দেখা যায় আগেই গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন নাভাস। আর তাই আবার পেনাল্টি পায় রেড ডেভিল শিবির।
এবার আর সফরকারিদের এগিয়ে নিতে কোনো ভুলই করেননি ম্যানইউ অধিনায়ক ফার্নান্দেজ। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউনাইটেডের জার্সিতে অভিষেকের পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ১২টি পেনাল্টি শট নিয়ে ১১টিতে লক্ষ্যভেদ করলেন ২৮ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
খেলায় এরপর দুই দলই সমানভাবে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলতে থাকে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে ফার্নান্দেজের দারুণ শট ঝাঁপিয়ে ফেরান নাভাস। এরপর কর্নারে ইউনাইটেডের স্কট ম্যাকটমিনের হেড দিয়ালোর গায়ে লেগে অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপ্পের দারুণ এক সোলো গোলের চেষ্টা ভেস্তে দেন রেডডেভিলদের স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডি গিয়া। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে এসে মার্শিয়ালের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরে পিএসজি। নেইমারের কর্নার বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড মার্শিয়াল।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পায় সফরকারীরা। মার্শিয়ালের উদ্দেশ্যে বাড়ানো ফার্নান্দেজের পাস পিএসজির এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় খালি জায়গায় থাকা র্যাশফোর্ডের কাছে। কিন্তু তাকে হতাশ করেন নাভাস। তবে বেশিক্ষণ নিজেদের জাল অরক্ষিত রাখতে পারেননি নাভাস। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে র্যাশফোর্ডের কাছেই হার মানতে হয় তাকে। পল পগবার পাস থেকে ম্যানইউয়ের জয় নির্ধারণী গোলটি করেন র্যাশফোর্ড।
খুলনা গেজেট/এএমআর