অধিনায়কের বাহুবন্ধনি নেহায়েতই একটা কাপড়ের টুকরো নয়, এতে জড়িয়ে থাকে দেশ/ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব, নেতৃত্বের দায়িত্বও। বেলজিয়ামের কাছে হেরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো খানিকটা আবেগের বশেই হয়তো, ছুঁড়ে ফেললেন সেটা, এরপর মারলেন লাথিও!
সোমবার রাতে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানীয় দল বেলজিয়ামের মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর পর্তুগাল। গেল আসরের শিরোপাজয়ী আর বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের লড়াইটাও হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। কিন্তু শ্রেয়তর দল পর্তুগাল দিনশেষে ছিল বিজিতের দলেই। পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় বেলজিয়াম। ফলে বিদায়ঘণ্টা বাজে রোনালদোদের।
খারাপ খেলে হেরে গেলে হয়তো মেনে নেওয়া সহজ হয়। কিন্তু ভালো খেলে, ম্যাচে শ্রেয়তর প্রতিপক্ষ হয়েও হারলে? সেটা হয়তো মেনে নেওয়াটা তত সহজও হয় না। সে কারণেই কিনা, রোনালদো পারলেন না নিজের হতাশা চাপিয়ে রাখতে। ক্ষুব্ধ হয়ে ছুঁড়েই ফেলে দিলেন মর্যাদার আর্মব্যান্ডটাকে। থামলেন না সেখানেই। ম্যাচ শেষে টানেলে যাওয়ার সময় লাথিও মারলেন সেখানে। সে ভিডিওতেই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব। রোনালদোও পড়েছেন তোপের মুখে। ফেসবুক, টুইটারে প্রশ্নও উঠছে খেলাটার প্রতি, দেশের প্রতি তার নিবেদন নিয়ে।
এমন আচরণ অবশ্য রোনালদোর জন্য নতুন কিছু নয়। গেল মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে রোনালদোর দল মুখোমুখি হয়েছিল সার্বিয়ার। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও পরে হজম করেছিল দুই গোল। এরপর শেষদিকে রোনালদো গোলটা পেতে পেতেও পাননি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে প্রতিপক্ষ পোস্টে বল বাড়ান তিনি, সেটা পেরিয়ে যায় গোলরেখাও। কিন্তু এরপর আলেকজান্ডার মিত্রোভিচের ক্লিয়ার, রেফারির রায়ও যায় রোনালদোদের বিপক্ষেই।
অথচ রোনালদো উদযাপনও শুরু করে দিয়েছিলেন ততক্ষণে, সিদ্ধান্ত জানার পরই রেগেমেগে পর্তুগাল অধিনায়ক ছেড়ে যান মাঠ। এর আগে করেছেন একদফা প্রতিবাদ। দেখেছিলেন হলুদ কার্ডও। যেতে যেতে অধিনায়কের বাহুবন্ধনীটা ছুঁড়ে ফেলে দেন মাঠে। বেলজিয়ামের বিপক্ষে যেন তারই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তিনি।
খুলনা গেজেট/কেএম