খাদের কিনারে পড়ে যাওয়া দলকে কিভাবে টেনে তুলতে হয়, তার নতুন দৃষ্টান্ত রাখলেন অজি ব্যাটসম্যান ম্যাক্সওয়েল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯২ রানের টার্গেট তাড়ায় ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয় অস্ট্রেলিয়ার। দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ধংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েও হার মানেননি অজি ব্যাটসম্যান। ১২৮ বলে ১০টি ছয় ও ২১টি চারের মারে ২০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
অষ্টম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ১৩১ রানের পাটনারশিপে শেষ পর্যন্ত ১৯ বল বাকী থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্টেলিয়া। এই জয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করলো দলটি।
বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৯তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আফগানিস্তান। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে ফেরেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (২১)।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ১০০ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে রহমত শাহ। দলীয় ১২১ রানে ৪৪ বলে এক বাউন্ডারিতে ৩০ রান করে ফেরেন রহমত শাহ।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। তৃতীয় উইকেটে তারা ৭৬ বলে ৫৩ রান করেন। ৪৩ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে ফেরেন হাশমতউল্লাহ।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ১৮ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২২ রান করেন। ১০ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইব্রাহিম জাদরান ও সাবেক অধিনায়ক রশিদ খান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা মাত্র ২৮ বলে ৫৮* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতেই তিনশোর দোরগোড়ায় গিয়ে পৌঁছায় আফগানিস্তান।
ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন ইব্রাহিম জাদরান। তিনি ১৪৩ বল খেলে দলীয় সর্বোচ্চ ১২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রশিদ খান।
খুলনা গেজেট/কেডি