আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় তিনটি দেশে মৌসুমী ঝড়ের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। ওই দেশ তিনটি হচ্ছে- মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক ও মালাউই। গত সোমবার এই তিনটি দেশে মৌসুমী ঝড় আনা আঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ জন নিহতের কথা জানা গেলেও ২৭ জানুয়ারি সেটি বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়।
ঝড়ের পর বিধ্বস্ত বহু বাড়ি-ঘর ও অবকাঠামো এবং হাজার হাজার বিপর্যস্ত মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছাতে উদ্ধারকর্মী ও জরুরি সাহায্যকারী দলগুলো কার্যত সংগ্রাম করছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়াসহ গত সোমবার মাদাগাস্কারে আঘাত হানে ঝড় আনা। এরপর শক্তিশালী এই ঝড়টি মোজাম্বিক ও মালাউইয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। ঝড়ের পর এই তিনটি দেশের সরকার এখনও ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ বোঝার চেষ্টা করছে।
এএফপি বলছে, ঝড় আনার কারণে মাদাগাস্কারে ৪১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মোজাম্বিকে ১৮ জন এবং মালাউইয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এছাড়া এই তিনটি দেশে তাণ্ডবের পর ঝড়টি দুর্বল হয়ে জিম্বাবুয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, তবে সেখানে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ঝড়ের প্রভাবে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই তিনটি দেশেই হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিতে কিছু কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়লে তার নিচে বাসিন্দাদের আটকে পড়ার ঘটনা ঘটে। একইসঙ্গে পানির স্রোতে কয়েকটি সেতু ভেঙে যায় এবং গবাদিপশু ডুবে যায় বলে জানা গেছে।
মাদাগাস্কারে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। রাজধানী আনতানানারিভোর বিভিন্ন স্কুল ও জিমনেশিয়ামগুলোকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে উত্তর ও মধ্য মোজাম্বিকে ১০ হাজার বাড়ি-ঘর, বহু সংখ্যক স্কুল ও হাসপাতাল ভেঙে পড়ে। এছাড়া আরও অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এর পাশাপাশি ঝড়ের কারণে মালাউইতে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার।
খুলনা গেজেট/এনএম