বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে অনুষ্ঠিত শততম গোপাল চাঁদ বারুণী স্নানোৎসব ও মতুয়া মেলা হাজারো ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। মোড়েলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামের প্রায়াত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের ৩দিন ব্যাপী আশ্রমে জমে ওঠা মেলার বৃহস্পতিবার হয়ে গেলো পূণ্য স্নানোৎসব। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মতুয়া মতাদর্শের ভক্তরা স্নানোৎসব ও মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন মৃধা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মেলাস্থল পরিদর্শন করেন। সভাপতিত্ব করেন গোপাল চাঁদ আশ্রমের গদিনশীন সেবাইত মতুয়া মহাসংয়ের সহাসচিব সাগর সাধু ঠাকুর।
বর্তমান গদিনশিন মতুয়াচার্য সাগর সাধু ঠাকুর জানান, গোপাল সাধুর এ ধামে এ পর্যন্ত চার পুরুষ গত হয়েছেন। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম স্মরণে বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে এখানে মতুয়া ভক্তদের সমাগম ঘটছে যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামে পরিচিত।
মতুয়া ভক্তরা প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা পূর্ণিমার ত্রয়োদশী তিথিতে ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মোৎসব পালন করেন। যা এখন বারুণী স্নান ও মহামেলা নামে পরিচিত।
ওড়াকান্দি মেলার ১৫দিন পরে ‘ঠাকুরের দোয়ালীয়া বাড়ি’ গোপাল চাঁদের লীলা নিকেতন মোড়েলগঞ্জের লক্ষীখালীতে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বারুণী স্নান ও মেলা।
প্রায়াত গোপাল সাধুর বসতবাড়িসহ ২৪ বিঘার বাগানবাড়িতে বসবে এ মেলা। দিঘীতে স্নান করবে ভক্তরা। মেলা ও স্নান নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ, আনছার-ভিডিপি ও স্থানীয় ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই