রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ইন্সপেক্টর গাজী মিজানুর রহমানকে (৫২) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পুলিশের এ কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ও ব্যবহৃত সরকারি অস্ত্রও নিয়ে গেছে। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সিআইডিতে কর্মরত আছেন। রোববার (২১ মার্চ) দুপুর দেড়টার সময় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এ দিন জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বছিলায় নিজ প্লটে কাজ করতে যান। সেখানে আমিন মোমিন হাউজিংয়ের শাহআলম ও জামিলসহ ৭-৮ জন সন্ত্রাসী তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
আহত মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এখন ছুটিতে আছি। এই জমিটা আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের নামে। এখানে সীমানা নিয়ে জটিলতা আছে। আমি বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানিয়েছিলাম। আজ দুপুর দেড়টার সময় আমার প্লটের কাছে গেলে হঠাৎ সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে এসে আমাকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে সন্ত্রাসীরা। আমার সঙ্গে থাকা সরকারি অস্ত্র ও মোটরসাইকেল তারা নিয়ে যায়।’
আহত সিআইডির ইন্সপেক্টর গাজী মিজানুর রহমান আহতের ভাগিনা আরিফ বলেন, ‘জমির সীমানা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তবে হাউজিং থেকে বলা হয়েছে, মামাকে কাজ করার জন্য। পরে মামা গেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে এসে মামাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মাথা এবং ডান পায়ে মারাত্মক জখম করা হয়। মামার মাথায় ২০টির মতো সেলাই দেওয়া হয়েছে। ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মেডিকেলে এসেছেন। তিনি মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটিতে থাকতেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর এলাকার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে তার সরকারি অস্ত্র নিয়ে গেছে কি-না সে বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই।’
খুলনা গেজেট/ টি আই