বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পঞ্চকরণ ইউনিয়নে চার গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটি ভাঙ্গা কাঠের সেতু। ৪/৫ হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীসহ যাত্রীদের। এ খালের এক প্রান্তে প্রভাবশালীদের দখলে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। নতুন ব্রীজ নির্মাণের টেন্ডারের এক বছর পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলছেনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। নতুন ব্রীজ নির্মাণ করে দুর্ভোগ লাঘবের দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পঞ্চকরণ ইউনিয়নের পাচগাঁও বাজারের কুমারিয়াজোলা হেড়মা সংযোগ খালের জনগুরুত্বপুর্ণ কাঠের পুলটি দীর্ঘদিন ধরে জরজীর্ণ ও ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে দেবরাজ, কুমারিয়াজোলা, পাচগাঁও, খারইখালী সহ সীমান্তবর্তী তেলিগাতী, বহরবুনিয়া, পুটিখালী ইউনিয়নের ৪/৫ হাজার মানুষ। এ কাঠের পুলটি পার হয়ে গ্রামের মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতে হচ্ছে জেলা শহরে। সেতুটির একপ্রান্তে রয়েছে পাচগাঁও বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, পাচগাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ দু’পান্তে রয়েছে ৭/৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির,কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এ পুলটি পার হয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী যাচ্ছেন বিদ্যালয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের আর অন্ত থাকেনা। ইতোপুর্বে এ পুল পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়েছে শিশু শিক্ষার্থী,বৃদ্ধসহ ভ্যান,মটর যাত্রীদের অনেকেই। এদিকে কাঠের পুলটির বাজারের অপর পান্তে রেকর্ডিয় খালের জমি দখল করে প্রভাবশালীরা ৮/১০টি দোকানঘর স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
পথচারী কুমারিয়া গ্রামের দেলোয়ার মুন্সি, ইব্রাহীম হাওলাদার, বৃদ্ধ হাশেম আলী শেখ, শিশু শিক্ষার্থী জান্নাতী,শিপনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন ব্রীজ হওয়ার কথা অনেকদিন ধরে শুনে আসছি, কতদিন ধরে এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের, কবে হবে ব্রীজ?
এ বিষয়ে পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, পাচগাঁও বাজারের এ কাঠের সেতুটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রতিবছরই সংস্কার করা হয়েছে। এলজিইডি দপ্তরের মাধ্যমে ব্রীজ নির্মানের টেন্ডারও হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজে আসার কথা বলে তালবাহানা করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পাচগাঁও বাজার সংলগ্ন সংযোগখালে নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে অনুর্ধ ১শ মিটার (ইউ এইচ বিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে টেন্ডার হয়েছে। অতিরিক্ত পানির চাপের কারনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি কাজের বিলম্বের বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। জরুরীভিত্তিতে কাজটি শুরু করারও তাগিদ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারকে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পঞ্চকরনে খালের জমি দখল করে যারা অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে #