বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১শ’ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, নগদ আড়াইলাখ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই ঘটনার ১৩ ঘন্টা পরে মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে স্থানীয় জেলেরা পানগুছি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে চরে একটি মোটরসাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে পৌরসভার সেরেস্তাদারবাড়ি এলাকা থেকে নিলয় জুয়েলার্সের মালিক মিলন কর্মকারকে ছিনতাইকারীরা মারপিট করে স্বর্ণালংকারের ব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদের মোরেলগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি ও নিলয় জুয়েলার্স মালিক মিলন কুমার কর্মকার (৪৪) জানান, প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে নিজ বাড়ির নিকস্থ সেরেস্তাদার বাড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হেলমেড পরিহীত ৩ জন সঙ্গবদ্ধ দল তার মটরসাইকেল গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার ব্যবহৃত স্কুটি মটরসাইকেলের বক্সে থাকা ১শ ভরি স্বর্ণালংকার, ব্যাগে থাকা আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় ছিনতাইকারীরা তাদের ব্যবহৃত ১টি মটরসাইকেল ও মিলন কর্মকারের মটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত জুয়েলার্স মালিক মিলন কর্মকারকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, রাতভর অভিযান পরিচালনা চালায়।
এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুদ্দীন বলেন, পৌর শহরের জুয়েলার্স মালিকের স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের বিষয়টির খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ওসি তদন্তসহ পুলিশের একাধীক টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ন স্পটগুলোতে চেকপোষ্ট বসিয়ে রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। একই সাথে শরণখোলা থানাসহ পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে। সকালে কুঠিবাড়ী এলাকার পানগুছি নদীর চর থেকে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পুজা উদ্যাপন পরিষদের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর সংকর কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা এক বিবৃতিতে জুয়েলার্স মালিকের উপর হামলা ও মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মালামাল উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম