বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আম্বিয়া বেগম (৪৫) নামের এক বিধবা নারীর গলাকাটা মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার কিসমত জামুয়া গ্রামে ওই নারীর বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় তার গলা কেটে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
হত্যার শিকার আম্বিয়া বেগম কিসমত জামুয়া গ্রামের সেকেন্দার আলী খানের স্ত্রী। তার একমাত্র ছেলে বাদশা খান চাকুরি সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। যার ফলে নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন এই নারী। স্থানীয়দের সাহায্য সহযোগিতা ও ছেলের পাঠানো সামান্য অর্থে কোনোমতে চলতো আম্বিয়ার দিন। কি কারণে আম্বিয়াকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয়রা। হত্যার রহস্য উদঘাটনে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ ও সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আব্দুল আজিজ বলেন, আম্বিয়ার স্বামী সেকেন্দার আলী ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পরে খেয়ে না খেয়ে দিন যেত আম্বিয়ার। সে সরকারি জায়গায় ঘর বানিয়ে ছিলেন। সকালে ঘরের বাইরে রক্ত দেখে এক ব্যক্তি আমাকে জানায় এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়। পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এবং এই হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম