সুপার সাইক্লোন ঘূর্নিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ৭ ফুট। রোববার রাত থেকে বিদুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই প্রবল আকাড়েই বৃষ্টি, নদীর স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ বাগেরহাট গ্রীডে ৩৩ কেবিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পেড়েছে। ৮৩ টি সাইক্লোন সেন্টারে নদীর তীরবর্তী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন। ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ছোলমবাড়িয়া, সাইনবোর্ড, বাগেরহাট ও শরণখোলা মোরেলগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, বিভিন্ন রুটের নৌ চলাচল ও খেয়া পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শহরের গুরুত্বপূর্ন দুই একটি জরুরী ঔষধের দোকান পাট ছাড়া প্রাই দোকান বন্ধ রয়েছে। গোটা উপজেলায় জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
এদিকে রোববার রাতে জরুরী ভাবে জুম মিটিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন, সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জরুরী সভায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
দূর্যোগের সতর্ক বার্তার জন্য মাইকিং করে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যারদেরকে নিজ নিজ এলাকায় সাইক্লোন শেল্টারে শুকনা খাবার চিড়া, মোমবাতি, গ্যাস লাইট পৌছে দেওয়ার জন্য বলা হয়।
উপজেলা রোভার স্কাউটস, মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক টিম সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মাঠে থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আহবান করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে সার্বক্ষনিক দুর্যোগের খবরা-খবর রাখার জন্য খোলা হয়েছে কন্টোল রুম এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষনিক খোলা রাখা হয়েছে দুইটি কন্ট্রোল রুম।
এ সর্ম্পকে উপজলো নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন œরাখা হয়েছে। উপজেলার ৮৩টি সাইক্লোন শেল্টারেই লোকজন নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেওয়া শুরু করেছেন। তাদের জন্য শুকনা খাবারও রাখা হয়েছে।