বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার শ্রীধাম লক্ষীখালী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের ধামে তিন দিনব্যাপী ১০১তম মতুয়া মেলা ও বারুণী স্নানোৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার (০৩ এপ্রিল) সকাল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতুয়া সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত এ মেলায় অংশ গ্রহন করেন। হাজারও ভক্তের পদচারনায় নিশান, ডাঙ্গা ঢোলের বাধ্যযন্ত্রের মুখরিত মেলার মাঠ।
বেলা ২টার দিকে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. কে এম আরিফুল হক, বাংলাশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাস গুপ্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংগের সভাপতি কাশিয়ানি উপজেলা চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত ঠাকুর, কেন্দ্রীয় নারী ঐক্যপরিষদের নেত্রী দিপালী চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা মিলন কান্তি দত্ত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার বাবুল সরদার, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম। এবারে বারুণী ¯œান উৎসবে মতুয়া মেলায় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন বলে শ্রীধাম লক্ষীখালীর গদীনশিন সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানিয়েছেন।
পূর্ণব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিগুরু চাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম শুভ জয়ন্তি জন্ম স্মরণে বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত লক্ষীখালী গ্রামে তার ভক্ত শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের লীলাধামে প্রতিবছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলাও নামে পরিচিত। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশার নেতৃত্বেও একটি দল স্নানে অংশ নেয়। লক্ষীখালী ধামের সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরিণ তালিকাভুক্ত ৪ শতাধিক দল এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান সহ লক্ষাধিক ভক্ত ইহজাগতিক পাপ মোচন ও পারামার্থিক কল্যাণ লাভের জন্য স্নানে আজ অংশ নিয়েছেন। ওড়াকান্দির ১৫দিন পরে ঠাকুরের দোয়ালীয়া বাড়ি গোপাল চাঁদের লীলা নিকেতন মোরেলগঞ্জের লক্ষীখালীতেও প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় বারুণী স্নান ও মহামেলা।
খুলনা গেজেট/কেডি