মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশের ন্যায় তেরখাদা উপজেলায় মোবাইল ফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু এ সেবা সম্পর্কে মানুষের ধারণা না থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না। কোনো প্রচার-প্রচারণা না থাকায় উপজেলা সদর এলাকা তো বটেই, প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনসাধারণের কাছে এ সেবা কার্যক্রমটি এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে সরকার দেশের ৪১৮টি জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করে। জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী একজন মেডিকেল কর্মকর্তার রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ওই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনগণকে জরুরি চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেওয়ার কথা। ফোন নম্বরটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন ও প্রচারের সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণকে নম্বরটি জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রচার বা প্রদর্শনে উদ্যোগী না হওয়ায় মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম কার্যকর হয়নি। মোবাইল ফোনটি এখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ যোগযোগের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে মোবাইল ফোনটি দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়মনুযায়ী ফোন ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে থাকার কথা এবং সেখান থেকেই চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়ার কথা। কিন্তু মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে বন্ধ হয়ে আছে।
উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক শেখ আজিজুর রহমান আজিবর বলেন, আমি উপজেলা সদরের বাসিন্দা হয়েও মোবাইল ফোনের এই চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে জানি না। সেখানে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ জানবে কী করে? এই সেবা সম্পর্কে কোনো রকম প্রচার না থাকার কারণেই এমন অবস্থা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সদরের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শামীম আহমেদ রমিজ বলেন, ফোনে চিকিৎসা দেওয়ার কথা শুনি নাই তবে তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবার জন্য যে ফোন দিয়েছে তা আমার মত অনেকেই জানে না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.অনিক কুন্ডু বলেন, মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দ্রুতই নতুন মোবাইল কিনে কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে