একুশের যুদ্ধ জয়ের পর তৃণমূল পাখির চোখ করেছে ২০২৪-কে। কংগ্রেসেরও লক্ষ্য দিল্লির কুর্সি থেকে মোদীকে হটানো। সেই লক্ষ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল পরস্পরের কাছাকাছি এসেছে আবারও। মোদীকে হারাতে বিরোধী ঐক্যে জোর দিয়েছেন উভয় দলই। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও মোদী বিরোধিতায় এগিয়ে দিচ্ছেন মমতাকে।
২০২৪-এর ভোট আরও তিন বছর বাকি। এখন থেকেই বিজেপি-বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে তৎপর সোনিয়া-মমতা উভয়েই। তৃণমূল একুশে জুলাইকে বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই মঞ্চে কংগ্রেসও সামিল হয়েছে। তারপর মমতা দিল্লি গিয়ে বিরোধী ঐক্যকে জোরদার করতে অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করতে শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর গান্ধী পরিবারের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করে গিয়েছেন। তারপরই একুশে জুলাইয়ে মমতার ভার্চুয়াল সমাবেশ মঞ্চে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের সদস্যদেরও। এখানেই শেষ নয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে পেগাসাস-কাণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে টুইট করা হয়েছে কংগ্রেসের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বিরোধী ঐক্যের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। কংগ্রেসের তিন শীর্ষ নেতার সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন মমতা। কমল নাথ, আনন্দ শর্মা ও অভিষেকের মনু সিংভির সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। এই তিন নেতার সঙ্গে বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
তৃণমূল কংগ্রেস যেমন জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে নিজেদের, কংগ্রেসও তেমনই গুরুত্ব বাড়িয়ে নিতে চাইছে। বাংলার নির্বাচনে মোদী-শাহদের ফুল টিমকে পর্যুদস্ত করার পর জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব বহুগুণ বেড়েছে। তিনি মোদীর চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠেছেন বাংলার নির্বাচন জিতেই।
এহেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস চাইছেন মমতার সঙ্গ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতা তুঙ্গে তুলতে। সেই কারণেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রচার দিয়েছেন। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সেতুবন্ধনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে দিচ্ছেন খোদ সোনিয়া। এখন দেখার ভবিষ্যতে উভয় দলের কী সমীকরণ দাঁড়ায়।