সংসদ সদস্য পদ খারিজের পর প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন রাহুল গান্ধী। বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানা করা হয়েছে তাকে। সেই সঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি প্রশ্ন তুললেন দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আদানিদের ঘনিষ্ঠ চীনা শিল্প সংস্থার ‘অংশগ্রহণ’ নিয়েও।
শনিবার (২৫ মার্চ) সাংবাদিক বৈঠকে বাহুল বলেন, ‘‘মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই তার বিমানে সফরসঙ্গী আদানির ছবি নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম। এরপর দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের লিজ নিয়ম-বহির্ভূতভাবে আদানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’
মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক ‘বহু দিনের পুরনো’ বলে দাবি করেন রাহুল। মোদির রাজ্যের আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে তার সাংসদ পদ খারিজ করা হলেও দেশের স্বার্থে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন জানিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘আমি ভয় পাই না। বিজেপি এত দিনেও সেটা বুঝতে পারেনি।’’
‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের সাজা দেয় গুজরাটের সুরাত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
ব্রিটেন সফরে গিয়ে তিনি ‘দেশকে অপমান’ করেছেন বলে বিজেপির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নস্যাৎ করে ওয়ানেড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘‘আমি দেশবিরোধী কোনো মন্তব্য করিনি। ওদের (বিজেপি) সমস্যা হল, আদানির অপমানকে দেশের অপমান ভাবেন।’’