মাদারীপুরে সেতুর পিলারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় স্কুলের দুই ছাত্র নিহত হয়েছে। সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের ‘শাজাহান খান সেতু’র উত্তরপাড়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন ধুরাইল ইউনিয়নের চাষার গ্রামের ১৭ বছর বয়সী জনি ফরাজী ও একই গ্রামের ১৮ বছর বয়সী নাঈম ফরাজী। তারা দুজন চাচাতো ভাই।
জনি ও নাঈম জালালপুর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। জনি মানবিক শাখায় নবম শ্রেণিতে ও নাইম একই বিভাগে দশম শ্রেণিতে পড়তেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে ‘শাজাহান খান সেতু’র দক্ষিণপাড় থেকে উত্তরপাড়ে যাচ্ছিল জনি ও নাঈম। এসময় মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সেতুর পিলারের সাথে ধাক্কা লেকে গুরুতর জখম হয় তারা। এ সময়ে মোটরসাইকেলের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রাত ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে নাঈম মারা যায়। এদিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে জনি ও মারা যায়। পরে তাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।
এ ব্যাপারে জালালপুর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুবেল মাতুব্বর বলেন, ‘জনি ও নাইম খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাদের অকাল মৃতুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। প্রতিটি ব্রিজের পিলারের পাশে সড়ক বাতি আরও বাড়ানো উচিত। আর প্রত্যেক অভিবাবকের উচিত, শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে সতর্ক রাখা। অতিরিক্ত স্পিডে মোটরসাইকেল চালানোর জন্যেই এতো বড় দুঘর্টনা দেখতে হল।’
ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে অতিরিক্ত স্পিডে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে দুঘর্টনা ঘটেছে। নিহতের পরিবার তাদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।’
খুলনা গেজেট/ টি আই