মোংলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মামলা দায়েরের পর উপজেলার চিলা ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রাম থেকে রুমি সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুমি এলাকায় সিরিয়াল রেপিস্ট হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা এলাকার তেলিখালী গ্রামের রুমি সরদার (৪০) একই এলাকার মিলন শেখের স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে (৩৭) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নেয়। এরপর বিয়ের কথা বলে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের টেপামারী এলাকার কিশোর মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন। বিয়ে না করেই তারা সেখানে বসবাস করে আসছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুমি রাবেয়াকে ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে রাবেয়া বিয়ের জন্য রুমিকে চাপ দিতে থাকলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এড়িয়ে চলতে থাকে রুমি। সবশেষ ৪ অক্টোবর বিয়ের জন্য কাজী আনার কথা বলে সটকে পড়ে। এরপর থেকে রুমি রাবেয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। শেষমেষ কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে রাবেয়া শনিবার রাতে থানায় গিয়ে রুমির বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই তেলিখালীর বাড়ি থেকে রুমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রুমি চিলা ইউনিয়নের পশ্চিম চিলার তেলিখালী গ্রামের মৃত তোরাপ সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এমন একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। স্থানীয়ভাবে রুমি প্রভাবশালী হওয়ায় তার ওই সকল কর্মকাণ্ড আড়ালেই থেকে যেত। এলাকায় সে সিরিয়াল রেপিস্ট হিসেবে পরিচিত।
এদিকে গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় তো শুধু রুমি একা দায়ী নয়, রাবেয়া স্বামীর সংসার ছেড়ে গিয়ে তার সাথে বিয়ে না বসে অবৈধ মেলামেশা করেছে। রাবেয়ারও শাস্তি হওয়া উচিত।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, রাবেয়া বেগমকে ধর্ষণের মামলায় ধর্ষক সিরিয়াল রেপিস্ট রুমি সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে তাঁকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।