খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম বিমানবন্দরে আটক; স্ত্রী সহ কানাডার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি
  ব্যক্তিগত আয়কর দেয়ার সময় বাড়লো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি : এনবিআর

মোংলায় করোনা রোগী হাজির ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে!

মোংলা প্রতিনিধি

করোনা শনাক্তের দুই দিন পর রোগী এলেন একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। কোন রকম সংক্রমন ঝুঁকি প্রোটেকশন না নিয়ে সেখানে এসে করেছেন এক্স-রে। এ পরীক্ষা শেষে আবার অন্য সাধারণ রোগিদের মাঝে এক থেকে দেড় ঘন্টা বসে খোস গল্প করে বিদায় হন তিনি। তার মাধ্যমে যে অন্য রোগিদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে সে চিন্তাই নেই তার। ঘটনা শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে মোংলা সরকারী হাসপাতালের সামনে রাতুল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সেবা নিতে আসা অন্য সাধারণ রোগীদের মাঝে হুড়োহুড়ি ও আতংকের সৃষ্টি হয়। পরে এ খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার ঘটনাস্থলে এসে রাতুল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করে দেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সহাকারী কমিশানর (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস ও পুলিশের সহকারী সিনিয়র এসপি (মোংলা-রামপাল সার্কেল) মোঃ আসিফ ইকবাল।

ইউএনও কমলেশ মজুমদার এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেওড়াতলার বাসিন্দা শামছুল হকের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার গত ২০ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘র‌্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট’ এ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর সাথে সাথে তাদের বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। পরে আজ খবর পেলাম ওই দম্পতি শহরে বের হয়ে রাতুল ডায়গনষ্টিক সেন্টারে এসে এক্স-রে করিয়েছেন। করোনা রোগী জানা সত্বেও কেন সেখানে ঢোকানো হল সেজন্য ওই ডায়গনষ্টিক সেন্টারটি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করার আদেশ দিয়েছি।’

এদিকে এই অবস্থায় কেন বাইরে বের হলেন জানতে চাইলে করোনা রোগী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাকে হাসপাতালের (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) মৌ ডাক্তার আসতে বলেছে তাই বের হয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এদিন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মৌসুমী আফরোজা মৌ বলেন, হ্যা করোনা রোগী আবু বকর সিদ্দিককে এক্স-রে করতে বলেছি তাই এসেছে। আর সে কি ছোট মানুষ? তাদেরকে বারবার বলা হয়েছে এভাবে যেন না বের হয়, এখন তারা যদি না বুঝে আমাদের কি করার আছে বলেন? উল্টো প্রশ্ন রাখে এই ডাক্তার।

জানাতে চাইলে বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!