মোংলা ইপিজেডে ভারতের মালিকানাধীন ভিআইপি নামে একটি কারখানা লে অফ (সাময়িক বন্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক গত রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে জিএম মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ‘না, কাঁচামাল শেষ হওয়া, মেশিনপত্রে সমস্যা দেখা দেয়া এবং অর্ডার কমে যাওয়ার কারণে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের লে অফের অনুমতি চাইলে তা বাস্তবায়নে অনুমতি দিয়েছি। মঙ্গলবার থেকে এটি কার্যকর হবে।
এদিকে ভিআইপি কর্তৃপক্ষ সাময়িক এই বন্ধের সময়ে তাদের শ্রমিকদের অর্ধেক বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।
মোংলা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি মোট ২৩টি ফ্যাক্টরি রয়েছে জানিয়ে জিএম মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক আরও বলেন, প্রয়োজনে ওই ফ্যাক্টরি ৪৫ থেকে ৬০ দিন বা তারও বেশি দিনের লে অফ চাইতে পারে। এটি ইপিজেড আইনে রয়েছে।
ভিআইপি ফ্যাক্টরির পণ্য (ল্যাগেজ ব্যাগ) তৈরিতে ভারত ও চীন থেকে এর কাঁচামাল আমদানি করা হয়। পণ্য তৈরি করে সেটি শুধু ভারতেই রফতানি করা হয় বলেও জানান জিএম মাহাবুব।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর বাংলাদেশের হেড অব এইচ আর মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন জানান, যেহেতু আমাদের পণ্যটি শতভাগ রফতানি হয় ভারতে, সেক্ষেত্রে ভারতে করোনার অবস্থা খুবই ভয়ঙ্কর। তাই কোনও পণ্য রফতানি হচ্ছে না। গত মার্চ মাস থেকে কোনও অর্ডার নেই। ভারতের বর্ডারগুলোও লকডাউন। এজন্য ব্যয় সংকোচনের জন্য নিয়মনীতি মেনেই মঙ্গলবার (১ জুন) থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত লে অফ ঘোষণা করেছি।
উল্লেখ্য, মোংলা উপজেলায় গত ১৮ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত ১২ দিনে পাঁচ দফায় ১২৮ জনের পরীায় ৮১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবকিছু বন্ধ রেখে রবিবার (৩০ মে) থেকে আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মোংলা উপজেলা প্রশাসন। ইপিজেড শ্রমিক বেশীর ভাগই মোংলা থেকে আসে তাই নদী পড়াপারের উপরও কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের ফলেও বন্ধ ঘোষণা করতে পারে বলেও অনেক শ্রমিকরা জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম