প্রচন্ড জ্বর আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় এক নারী। বুধবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকা থেকে গাড়ী যোগে অম্বিয়া বেগম (৪৫) নামে ওই নারী এসে ভর্তি হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জরুরী বিভাগের ডাক্তার তার অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। তবে করেনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখে নমুনা সংগ্রহের পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে নমুনা পরীক্ষার জন্য সকল কাগজপত্র সম্পূর্ন করেন। কিন্তু করোনার নমুনা সংগ্রহের আগে ভর্তির দুই ঘন্টার মাথায় হাসপাতালের বেডেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই নারী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মলয় মল্লিক জানায়, বুধবার সকালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ প্রচন্ড জ্বর, সর্দি ও শাষকষ্ট নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আম্বিয়া বেগম (৪৫) নামে এক নারী। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে এবং তাকে সুস্থ্য করার জন্য চিকিৎসাও শুরু করা হয়। এছাড়াও তার করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য নিবন্ধন করে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়। তবে দুপুর ১২টার দিকে নারী ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা আম্বিয়া বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিবেতোষে বিশ্বাস’র পরামর্শে মৃত্যু ব্যাক্তির নমুনা নেয়ার কথা বললেও তার স্বজনরা তা নিতে দেয়নি। দ্রুতই আম্বিয়া বেগমের মরদেহ নিয়ে চলে যায় তার স্বজনরা। তবে তিনি করোনায় মারা গেছেন কি-না, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এ চিকিৎসক।
আম্বিয়া বেগম উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার জাহাঙ্গীর খান’র স্ত্রী বলে জানায় এ কর্মকর্তা। তবে মৃত এ নারীর করোনা নমুনা পরীক্ষা না করানোর বিষয়টি এলাকাবাসী ও তার পরিবারের জন্য আরো বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানায় ডাঃ মলয় মল্লিক।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি