মোংলায় পাওনা টাকার শালিসিতে থানায় যাওয়ার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজারে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ ফয়সাল ইসলাম স্বর্ণ বলেন, আহতদের প্রায় সবারই মাথা ফাটা। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত যখম রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হচ্ছেন বেল্লাল খাঁন (৪০), রিপন খাঁন (৩৫), আউয়াল খাঁন (৩০), ইমামুল খাঁন (২০), ইয়াসিন শেখ (২৭), সাউদ খাঁন (৩৫), লিয়াকত খাঁন (৬০), দেলোয়ার শেখ (৪০), টুকু মোড়ল (৩৫), নুর ইসলাম মল্লিক (৪৫), শামসু খা (৬৫), দেলোয়ার হোসেন (৪০), নুরুল আমিন (৩৮) ও মাসুদ গাজী (৩৫)। এদের সবার বাড়ী সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে।
আহতদের এক গ্রুপ সুন্দরবন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা একরাম ইজারাদারের ও অপর গ্রুপ যুবলীগ নেতা আহাদুল মেম্বরের অনুসারী বলে জানা গেছে। একরাম ইজারাদার দাবি করেন, শালিসিতে যাওয়ার পথে আহাদুল মেম্বরের লোকজন দা ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে তার লোকজনকে জখম করেছে। অপরদিকে আহাদুল মেম্বর বলেন, একরাম ইজারদারের লোকজনই তার লোকদের কুপিয়েছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুনেছি থানায় একটা শালিসিতে আসার সময় গাড়ীতে উঠা নিয়ে পথে স্থানীয় দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শেখ কবির উদ্দিন বলেন, স্থানীয় কবির ও জামাল ফকিরের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে শুক্রবার মোংলা থানায় শালিস হওয়ার কথা ছিল। সেই শালিসিতে যাওয়ার পথে বাঁশতলা বাজারে তাদের মধ্যে গাড়ীতে ওঠা নিয়ে তর্ক শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের পেশি শক্তির মহড়ায় সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। সবাই দা ও লোহার রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে শুনেছেন তিনি। এতে বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হয়, আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় বাঁশতলা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বড় ধরণের যে কোন সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওইসব ঘটনায় মামলা বিচারাধীন বলে জানান মোংলা থানার ওসি মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী।
খুলনা গেজেট/ টি আই