মোংলায় এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ গণধর্ষণের ঘটনায় বুধবার (৫জুন) দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে এদিন সকালে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বোন।
মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কে, এম আজিজুল ইসলাম জানান, এ ধর্ষণ মামলার আসামিরা হচ্ছেন – মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মো. সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী (৩৬), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. জামাল (৪৫), মো. লুৎফরের ছেলে মো. আওয়াল (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
আর আটককৃতরা হলেন, রুমান, রানা, সুমন, মিজান ও রাসেল। পলাতক রয়েছেন, জামাল ও আওয়াল।
মোংলা থানায় দায়ের হওয়া মামলার বরাত দিয়ে ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, গনধর্ষণের শিকার ওই নারী এর সাথে ১০/১২ দিন আগে মামলার আসামি সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের মোবাইলে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে গত সোমবার তারা ওই নারীর সাথে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করে। পরে ওই নারীকে রাত ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে করে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে ঢুকিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে একাধিক লোক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সে অচেতন হয়ে জ্ঞান হারালে ওইদিন রাত ৩টায় পাশ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রীজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরে এই পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামে এক মটর সাইকেল ড্রাইভার ওই নারীর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দিলে কিছুক্ষণ পরে সে সুস্থ্য হয়। পরে ওই নারী তার বোন আসমা আক্তারকে ফোন দিলে তাকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে জানান মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এএজে