প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম বারের মত মোংলা সমুদ্র বন্দরে গিয়ারলেস (নিজস্ব ক্রেনবিহীন) জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাস শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব মোবাইল হারবার ক্রেনের মাধ্যমে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ফিলোটিমো থেকে পণ্য খালাস ও বোঝাই করা হয়। এদিন ২৬৩ টি পণ্যবাহী কন্টেইনার জাহাজ থেকে খালাস করা হয়। খালাস শেষে রপ্তানিযোগ্য ৩৪৪ টি কন্টেইনার পন্য মোবাইল হারবার ক্রেনের মাধ্যমে জাহাজে বোঝাই করা হয়।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পণ্য বোঝাই জাহাজটি মালায়শিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে বন্দর ছেড়ে যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ১৭২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬.৯ মিটার গভীরতার জাহাজটি ৪৮৬ টিউজ কন্টেইনার পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে আগমন করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপসচিব মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, ১৯৫০ সালে মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৭১ বছর পর এই প্রথম মোংলা বন্দরে কোন গিয়ার লেস (নিজস্ব ক্রেনবিহীন) জাহাজ আসল। সম্প্রতি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি ক্রয়কৃত ২টি মাল্টিপারপাস ক্রেন এবং ৪টি মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে এই হাজারে পণ্য খালাস ও বোঝাই সম্পন্ন করা হয়েছে।
মাকরুজ্জামান আরও বলেন, ইতোপূর্বে বন্দরে শুধুমাত্র নিজস্ব ক্রেনসংযুক্ত কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ আগমন করত। যার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং প্রোডাক্টটিভিটি ছিলো ঘন্টায় গড় ৮ টি কন্টেইনার। বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ক্রেন ধারা জাহাজে পণ্য বোঝাই ও খালাসের প্রোডাক্টিভিটি ঘন্টায় ১৫ টি কন্টেইনার।
এছাড়া মোংলা বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে টার্ন এরাউন্ড টাইম ২.৫-৩ দিন ছিলো। বর্তমানে কন্টেইনারবাহী জাহাজের টার্ন এরাউন্ড টাইম ২ দিনে হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ব্যবসায়ীদের খরচ ও সময় দুটোই হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ এস আই